বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ইয়াসিন আরাফাত বুধবার এই আদেশ দেন।
দুই আসামির মধ্যে একজন হলেন মো. মুসা। অন্যজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
মামলার অন্য ২২ আসামিকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার মামলা শুনানির দিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও বাবার সঙ্গে আদালতে হাজিরা দেন।
“বিচারক মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক এক কিশোরসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন। এই দিন আসামি রিফাত ফরাজী ও টিকটক রিদয়ের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।”
আগামী ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তি দিন ঠিক করে আদেশ দিয়েছে আদালত।
গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।
এরপর ২ জুলাই এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে রয়েছেন মিন্নি।