আ.লীগের ইউনিয়ন নেতৃত্ব নিয়ে গোপালগঞ্জে ‘হত্যাকাণ্ড’, আটক ৪

গোপালগঞ্জে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 10:58 AM
Updated : 16 Oct 2019, 10:58 AM

মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের মোশারফ মল্লিক ও ইমারত হোসেন কিনু মল্লিকের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধে শাহ আলম (৪৫) নামে একজন নিহত হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।

বুধবার মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, “আমরা এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছি।

“এজাহার এলেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

আটকরা হলেন দাউদ মিল্লক, আসাদ মল্লিক, হবি মিল্লক ও মাসুদ মিল্লক।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাত-পা বাঁধা অব্স্থায় কুমার নদের পাড়ে শাহ আলমকে (৪৫) উদ্ধার করা হয়। রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিরোধের বিষয়ে নিহত শাহ আলমের চাচাত ভাই বাবুল শেখ জানান, গত সোমবার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের মোশারফ মল্লিক ও ইমারত হোসেন কিনু মল্লিক সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী হন।

‘ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।’

মঙ্গলবার সকালে সিন্দিয়াঘাট বাজারে দু’ প্রার্থীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ ‘অন্তত ১০ জন’ আহত হন বলে জানান তিনি ।

আহতদের মধ্যে চারজনকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এ সংঘর্ষে আহত চাচাত বোন মিনাকে দেখতে শাহ আলাম মঙ্গলবার দুপুরে রাজৈর হাসপাতালে রওনা হওয়ার পর থেকে শাহ আলম নিখোঁজ হন জানান তিনি।

মোশারফ হোসেনের সমর্থক শাহ আলমকে সেদিন সন্ধ্যায় কুমার নদের পাড়ে বাঁধা অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানান তার চাচাত ভাই বাবুল।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল জানান, “হাসপাতালে আনার অনেক আগেই শাহ আলমের মৃত্যু হয়।”

কিন্তু তিনি মৃতুর কারণ জানাতে পারেন নি।’ 

শাহ আলমের চাচাত বোন মিনার অভিযোগ, “প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী ইমারত হোসেন কিনু মল্লিকের সমর্থকরা আমার ভাইকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।”

তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অপর সভাপতি প্রার্থী ইমারত হোসেন কিনু মল্লিক এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনায় তাকে ফাঁসিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।’