বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগের চেয়ারম্যান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, দুইটি হলের প্রভোস্টসহ মোট সাতজন পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ।
পদত্যাগকারীরা হলেন, কৃষি বিভাগের চেয়্যারম্যান ড. এম. এ সাত্তার, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক শাহীন, লাইভস্টক বিভাগের চেয়ারম্যান মো. শফিকুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম খান, স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মুহাম্মদ রবি উল্লাহ ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট রবিউল ইসলাম।
সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগকারীরা রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদের কাছে নিজ নিজ পদত্যাগপত্র জমা দেন, পরে তা ভারপ্রাপ্ত ভিসির কাছে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা পদত্যাগকারীদের পদত্যাগ দাবি করে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান এই সাতজনের পদত্যাগ সত্যতা স্বীকার করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
টানা ১২ দিনের আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ব মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত শেষে সুপারিশের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনও পদত্যাগ করেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন ছয়জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে।
সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা খানম, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নেসারুল হক, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নাসিরুদ্দিন, ইইই বিভাগের প্রভাষক চয়ন মণ্ডল, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবীর ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক এস.এ.এম মেহেদী হাসান।