সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার ভোগড়া বাইপাস মোড়ে লরিচাপায় দুই মোটসাইকেল আরোহী নিহত হন। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার স্বজনরা লাশ নিতে এসে জানতে পারেন, ময়নাতদন্ত হয়নি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, “আমি ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে ১৫-২০ জন যুবক একসঙ্গে আমার অফিসে ঢুকে ডাক্তার খুঁজতে থাকে। আমি নিজকে ডাক্তার পরিচয় দিতেই তারা মারধর শুরু করে। কেউ কেউ লাঠিসোটা খুঁজতে থাকে।
“তারা অফিসের টেবিল ভাংচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে। তারা আমার অফিস সহায়ক জাহিদকেও মারধর করে। দৌড়ে অধ্যক্ষের অফিসে তোতালায় গেলে সেখানেও তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে, অধ্যক্ষের অফিসের জানালা ও ফুলের টব ভাংচুর করে। পরে আমি আরেকটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রক্ষা পাই।”
খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গিয়ে ধাওয়া দিয়ে অন্তর (১৭), শান্ত (২০) ও বোরহান (১৮) নামে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বলে জানান পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম।