চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙন দেখা দেয়।
“মুহূর্তেই বাঁধের ৪০টি মিটার এলাকা মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় নদী তীর লাগোয়া কয়েকটি বসতঘর বিলীন হয়ে যায়।”
মেঘনার তীব্র স্রোতের হরিসভা এলাকায় ভাঙন দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, ভাঙনে বসতঘর হারা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভাঙন এলাকায় ছয় শতাধিক বালিভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন মজুদকৃত ৩ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামল রায়, দুখু ঘোষ এ নদী ভাঙনে বসতঘর ছাড়া হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, প্রতিবছরই হরিসভা এলাকায় নদী ভাঙছে অথচ ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ভাঙন এলাকার পৌরসভার কাউন্সিলর ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী জানান, গত আগস্ট মাসের শুরুতে পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ওই সময় প্রায় ১০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন রোধে বালিভর্তি ব্যাগ ফেলাও হয়।
তিনি বলেন, “মেঘনা নদীতীর রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী হরিসভা মন্দির অন্যান্য বসতঘর ও ব্যবসায়িক স্থাপনাসহ পুরো পুরানবাজার এলাকা মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।”
এ ভাঙনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।