নাটোরে বাম জোটের সমাবেশে বাধা

নাটোরে সমাবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2019, 03:11 PM
Updated : 13 Oct 2019, 03:11 PM

বাধার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের দায়ী করেছে বাম নেতারা। ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আদিত্য শুভকে মারধর করা হয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লুটের প্রতিবাদ এবং ভারতের সঙ্গে ‘অসম চুক্তি’ বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূাচির অংশ হিসেব বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য জোট রোববার বিকালে নাটোরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ আয়োজন করেছিল।

জোটের নাটোর জেলা সমন্বয়ক নির্মল চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশ করার বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিকাল ৪টায় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।

এ সময় আয়োজকরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য দিয়ে সমাবেশ শেষ করতে বলেন।

তখন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বক্তব্য শুরু করতে যান। এ সময় মাইক্রোফোন নিয়ে টানাটানি শুরু করে পুলিশ; সেই সঙ্গে যোগ দেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু কর্মী।

জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোশারফ হোসেন এসময় মাইক ছাড়াই বক্তব্য দিতে শুরু করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আবারও হট্টগোল শুরু করে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরোর সদস্য আনসার আলী দুলাল বলেন, “পুলিশও নেতাদের সমাবেশস্থল ছেড়ে যাওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে সমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়।

“সমাবেশস্থল থেকে ফেরার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নাটোর জেলা সভাপতি আদিত্য শুভকে মারধর করে।”

হামলার অভিযোগের বিষয়ে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন, এর সঙ্গে তার সংগঠনের কারও সংশ্লিষ্টতা নেই।

“সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছিল। এতে উপস্থিত লোকজন বিরক্ত হয়ে হট্টগোল করে। ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে ছিল না।”

নাটোর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, “সমাবেশের শুরু থেকে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। কিছু লোকজন সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি করলে তাদেরকে শান্ত করে পুলিশ। শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ আয়োজকদের সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার অনুরোধ করেছেন মাত্র। পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করেনি।।”