শনিবার দুপুরে জেলা শহরের বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন জেলা প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম।
এরপর ওই কর্মশালায় প্রশিক্ষণরত শিক্ষকরা গাড়িচালক ইমতিয়াজ আলী বাবলাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং আহত আমিনুলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান।
আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছর শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করেন ড্রাইভার বাবলা। খাবার সরবরাহসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত থেকে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
“এবারও ২০০ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও তিনি আমাকে ১৮০ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলেন। আমি তার কথা শুনিনি। সবমিলিয়ে তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেন।”
আমিনুল বলেন, “দুপুরে গাড়িচালক বাবলা আমাকে বিদ্যালয় মাঠে ডেকে নিয়ে তাকে খাবার কেনার দায়িত্ব না দেওয়ার কারণ জানতে চান। এরপর দুয়েক কথায় তিনি আমার ওপর চড়াও হন। তিনি আমাকে গালাগাল করেন এবং লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। আমার টি শার্ট ছিঁড়ে দেন।”
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায় সিংহ বলেন, “আমার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। বাবলা আমার কথাও শোনেনি। ঘটনার পর বিষয়টি আমি সাথে সাথেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে জানিয়েছি।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক মো. আকতারুজ্জামান বলেন, “জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করতে বলেছি। তা পেলেই ওই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
থানা হাজতে থাকা গাড়িচালক ইমতিয়াজ আলী বাবলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ওই কর্মকর্তাকে মারধর করিনি। বরং তিনিই আমাকে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। আমি শুধু তাকে বলেছিলাম সব আপনি একা একাই করতেছেন। খাবার কেনার কমিটি আছে তাদের অন্তত জানান। এ কথা বলার পরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়।”