পদ্মার ভাঙনে বিলীন বিদ্যালয়-ফসলি জমি

পদ্মার ভাঙনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়া ইউনিয়নের একটি স্কুলসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে; ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক স্থাপনা।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2019, 07:11 AM
Updated : 11 Oct 2019, 07:20 AM

চর আষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, তার ইউনিয়নের চর বোয়াল মারী বয়ারমারী এলকার প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে নদীর এই ভাঙন শুরুর পর বুধবার গভীর রাতে চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। 

চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশিদ বলেন, “বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের মুখে পড়ায় গত দুই সপ্তহে আগে আসবাব পত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। বুধবার গভীর রাতে বিদ্যালয়টির একটি ভবন নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।”

দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত স্কুলটির আরেকটি নতুন ভবনও ঝঁকিতে রয়েছে; দুই-এক দিনের মধ্যে সেটিও বিলীন হয়ে যাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, এ বিদ্যালয়ে ৪০০ শিক্ষার্থী এখন খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করছে। তাদের জন্য নিরাপদ জায়গায় আপাতত টিন সেডের ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে চর আষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান। এছাড়াও ভাঙনের মুখে পড়েছে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

তিনি বলেন, ভাঙনে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া ও শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইমরানুল হক বলেন, নদী ভাঙনে বিদ্যালয়ের একটি ভবন ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আর ভাঙনের মুখে পড়া আরেকটি ভবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মার পানি নেমে যাওয়ার সময় কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। সে রকম ভাঙনের কবলে পড়েছে পড়েছে মানিকচক বোয়ালমারি এলাকা।

“বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই ভবনের ২০০ ফিট দুরে ভাঙন রয়েছে। সেখানে জিও ব্যগ ফেলা হচ্ছে।”