বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, “সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সেনাসদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তরা চাকরিচ্যুত তো হবেই, তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। বাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।”
“যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ ঠেকাতে এবং ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন, সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের সদস্যগণ ‘প্রাণ দেব মান নয়’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত। এই কোরের সদস্যগণ দেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো দুর্যোগময় মুহুর্তে ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সাথে অংশগ্রহণ করছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে এই কোরের সদস্যদের অংশগ্রহণের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে দৃঢ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ আর্মার্ড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।