বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি সীমান্তের ওপারে স্থানীয়রা তাদের আটক ও মারধর করে বিএসএফকে হস্তান্তর করে। দুদেশের পতাকা বৈঠক শেষে বিকাল ৫টার দিকে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে ফিরিয়ে দেয়।
এই পাঁচজন হলেন র্যাবের কনস্টেবল আবদুল মতিন, কনস্টেবল রিগেন বড়ুয়া, সৈনিক ওয়াহেদুল ইসলাম এবং র্যাবের দুই নারী সোর্স লিজা ও তার খালা।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলেন, তিন র্যাব সদস্যকে নিয়ে মাদক উদ্ধার করতে সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন একটি বাড়িতে যান তাদের দুই সোর্স। এ সময় ভুলবশত তারা সীমান্ত অতিক্রম করেন।
“এরপর ভারতীয় নাগরিকরা র্যাবের তিন সদস্য এবং তাদের সঙ্গে থাকা দুই নারী সোর্স লিজা ও লিজার খালাকে আটক ও বেধড়ক মারধর করে তাদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, সাতটি বুলেট ও অন্যান্য সামগ্রীসহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।”
কমান্ডার মুহিতুল বলেন, “এদিকে খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে র্যাব ও বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিকাল ৫টায় তাদের ফেরত দেওয়া হয়।”
বৈঠকে ভারতের ৭৪-বিএসএফের পরিদর্শক আর জে মিঠু ও বাংলাদেশের সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলামসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“তাদেরকে ফেরত আনতে দিনভর বিএসএফ এর সাথে পত্রবিনিময় করার পর বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। বিকাল ৫টার দিকে বিএসএফ ওই পাঁচজনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।”