খুলনার ‘থ্রি ডক্টরস’ কোচিং বন্ধ, পরিচালককে জরিমানা

কর্মস্থলে না থেকে কোচিং সেন্টারে সময় দেওয়ায় এক সরকারি চিকিৎসক ও খুলনার ‘থ্রি ডক্টরস’ কোচিং সেন্টারের পরিচালককে জারমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 10:12 AM
Updated : 10 Oct 2019, 03:18 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

দণ্ডিত ডা. ইউনুস খান তারিম মেডিকেল ভর্তি কোচিং ‘থ্রি ডক্টরস’-এর খুলনা শাখার পরিচালক এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার।

জেলা প্রশাসক বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একমাস আগে থেকে সব ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে থ্রি ডক্টরস কোচিং খোলা রাখা হয়েছিল।

“এছাড়া ডা. তারিম একজন সরকারি চিকিৎসক। কিন্তু কর্মস্থলে না থেকে তিনি কোচিং সেন্টারে সময় দিচ্ছিলেন। এসব কারণে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

ডা. তারিমকে মেডিকেল অফিসারের পদ থেকে বরখাস্ত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন জানান।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করার অভিযোগে থ্রি ডক্টরস ভর্তি কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও হেলাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান হোসেন বেলা ১১টায় নগরীর বেণী বাবু রোড়ের থ্রি ডক্টরস কোচিংয়ে অভিযান চালিয়ে ডা. তারিমকে আটক করেন এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

ওই কোচিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরে জরিমানা আদায় করে বিকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ডা. তারিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপের) জেলা কমিটির একটি অংশের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের চার হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৩৩৬টিসহ মোট ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে ‘৭২ হাজার ৯২৮ জন আবেদন করেছে।’

গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১১ অক্টোবর দেশব্যাপী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার করেছে।

এ বছর প্রশ্নপত্র প্রণয়নে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনার এবং প্রশ্নপত্র পাঠানোর জন্য ট্রাঙ্কের সাথে সংযুক্ত ট্র্যাকিং ডিভাইস থাকার কথা। সাইবার-ক্রাইম প্রতিরোধ এবং পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধও করা হয়েছে বলে ওই সংবাদ সম্মেলনে।