বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। ক্লাসও শুরু হয় যথারীতি। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. শাহজাহানও এই দিন দায়িত্ব বুঝে নেন।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষিক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সব দিক দিয়ে পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একটু কম ছিল।
রোববারের মধ্যে সব শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেলী শারমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে।
“আমরা শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে থেকেই আমাদের সময় পার করতে চাই।”
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ অবস্থায় প্রশাসন ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। পরে ইউজিসির পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল ক্যাম্পাসে এসে তদন্ত করে যায়। তারা নাসিরউদ্দিনকে অপসারণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দিলে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তারপর ৭ অক্টোবর রাতে অধ্যাপক শাহজাহানকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম জানান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুধবার দায়িত্ব নিয়ে বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে তার কার্যালয়ে সভা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।