পঞ্চগড়ে বৌভাতের খাবারে ‘বিষক্রিয়ায়’ অসুস্থ অর্ধশতাধিক

পঞ্চগড়ের একটি বাড়িতে বৌভাতের দাওয়াত খাওয়ার পর খাবারে ‘বিষক্রিয়ায়’ নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক অতিথি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2019, 04:22 PM
Updated : 8 Oct 2019, 04:22 PM

মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ও সিভিল সার্জন নিজাম উদ্দীন হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, সোমবার দুপুরে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে তার ছেলে মাজেদুল ইসলামের বৌভাতের দাওয়াত খাওয়ার পর গভীর রাত থেকে এই অসুস্থতা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের আয়োজক সিরাজুল ইসলাম নিজেও একই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয় বিপদে ফেলার জন্য কেউ শত্রুতা করে খাবারে কোনো কিছু মিশিয়েছে। আমি, আমার ছেলে, তার নতুন বৌসহ পরিবারের প্রায় সবাই অসুস্থ হয়েছি।”

কতজন অসুস্থ হয়েছেন সে সম্পর্কে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন নিজাম উদ্দীন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধা ৭টা পর্যন্ত বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ২০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আর পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চারজনকে।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন খাদিজা আক্তার চম্পা (২০) ও রহিমা আক্তার (৩২), বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রফিকুল ইসলাম (৫৫) ও আনোয়ার হোসেন (৪২)।

তারা বলেন, সোমবার দুপুরে বৌভাতের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়ার পর সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এরপর গভীর রাত থেকে তারা অসুস্থ হতে থাকেন।

তারা বলেন, রাত থেকে তাদের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর অতিরিক্ত মাথাব্যথাসহ জ্বর শুরু হলে তারা হাসপাতালে আসেন। এখনও অনেকের জ্বরসহ প্রচণ্ড মাথাব্যথা আছে বলে তারা জানান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত যেসব রোগী আমরা পেয়েছি তাদের লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

“রোগীদের সবার বমি, পাতলা পায়খানা ওজ্বর আছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরও অনেক রোগী এসেছেন। তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টা পর রোগীরা স্বাভাবিক হতে পারেন।”

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাইকে সরকারি খরচে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, এছাড়া ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে।