কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শাকের আহম্মেদ জানান, মঙ্গলবার মামলার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফ জুয়েলার্সের মালিক মো. শহীদুল্লাহ (৪০), তার কর্মচারী আব্দুল মতিন (৩৫), মৌচাক জুয়েলার্সের মালিক অনিল চন্দ্র পাল (৪০), ত্রিশাল উপজেলার আশরাফুল জুয়েলার্সের মালিক আবুল কালাম (৪৫) ও দিঘারকান্দা মহল্লার আনোয়ার হোসেন হিরুর ছেলে হৃদয় হোসেন (২৫)।
পরিদর্শক শাকের বলেন, শনিবার শহরের দিঘারকান্দা মহল্লার মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়। এ ঘটনায় মোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ হৃদয় হোসেন নামে এক তরুণকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে।
পরিদর্শক শাকের বলেন, হৃদয় হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্রেপ্তারকৃতরা চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।”
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম বলেন, “চুরির চার ভরি সোনা শহীদুল্লার ম্যানেজার কিনেছেন। কিন্তু শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশকে সুপারিশ করেছিলাম তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তাতে কোনো লাভ হয়নি।”
আদালতের নির্দেশে তাদের মঙ্গলবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক শাকের।