সোমবার বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সাঈদ ফেরদৌস বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বলেন, পাড়ায়-মহল্লায় বলেন আর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলেন, অপারাধীরা অপরাধ করে নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যায়।
জাহঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, “লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা এমন এক স্বাধীনতা আমরা পেলাম যেখানে মুক্তচিন্তার কোনো দাম নেই। আজ শিবির বলে সন্দেহ হওয়ায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার প্রশ্ন এই অধিকার তাদের কে দিয়েছে?”
“কিন্তু ছাত্রলীগ নামধারী রাষ্ট্রের পোষা সন্ত্রাসীরা তাকে এজন্য ডেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ন্যক্কারজনকভাবে হত্যা করার পর তাকে শিবির হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।”
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী কাব্য কৃত্তিকা বলেন, “একজন মানুষকে তার আদর্শিক পরিচয়ের কারণে মেরে ফেলা যায় না। সে যদি শিবির করে আর শিবির করা যদি ঘৃণ্য হয় তাহলে দেশে আইন আছে। আইন তার বিচার করবে। একজন মানুষ সে যেকোনো আদর্শেরই হোক না কেন, নাস্তিক বা শিবির বলে তাকে হত্যা করা জায়েজ হতে পারে না।”
রোববার রাত ২টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলেরে সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই হলের শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, আবরারকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পায়।
আবরারকে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে সহপাঠীদের বরাতে খবর প্রকাশ করেছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। পুলিশ ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতাকে আটক করেছে।