কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই শাবকের জন্ম হওয়ার কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, “এই পার্কের একমাত্র পুরুষ জিরাফের মৃত্যুতে আমরা পুরুষ জিরাফ আমদানির কথা ভাবছিলাম।
“পার্কে পুরুষ শাবকের জন্ম হওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে।”
এ শাবকটি সুস্থ অবস্থায় বেড়ে উঠলে এ পার্কে জিরাফের বংশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি পার্কের একমাত্র পুরুষ জিরাফটি মারা যায়। আর ২৭ অগাস্ট বিকেলে জন্মায় শাবকটি। তবে জিরাফ শিশুসহ মায়ের নিরাপত্তা কথা ভেবে খবরটি প্রকাশ দেরিতে করে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
মা ও শাবকটির সুস্থ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন শাবকটি মায়ের দুধ পানের পাশাপাশি ঘাসও খাচ্ছে।
“শাবকের খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মা জিরাফকে অতিরিক্ত কৃত্রিম খাবারও দেওয়া হচ্ছে।”
আফ্রিকার তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত জিরাফ স্বভাবে নিরীহ। পূর্ণ বয়সে ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হওয়া এই প্রাণীর গলাও ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। স্থলের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী জিরাফের প্রধান খাবার গাছের পাতা। ফল-ফুলও খেয়ে ফেলে প্রাণীটি।
‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’ এর বিপ্ন্ন প্রাণীর তালিকায় নাম ওঠা জিফার সংখ্যায় বিশ্বে এক লাখের কম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গর্ভে ১৪ মাস থাকার পর জন্মলগ্নে জিরাফ শাবকের ওজন সাধারণত ৫০-৬০ কেজি হয়ে থাকে বলে জানান বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার।
২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ১০টি জিরাফ প্রথম আনা হয়।