গাইবান্ধা শহরের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তাকে আটকের পর রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
২০০২ সালের ১৭ জুলাই গাইবান্ধা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা তৃষা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মডার্নসহ তিন বখাটের ধাওয়া খেয়ে পুকুরে লাফিয়ে পড়ে ডুবে মারা যায়। ওই ঘটনায় হত্যা মামলায় মডার্নসহ আসামিদের ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী গাইবান্ধা শহরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল।
“পরে ওই দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে।”
এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল হক বলেন, “গাইবান্ধার মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তৃষা হত্যার দায়ে আরও দুই সহযোগীসহ ১৪ বছর জেল খাটে এই বখাটে মডার্ণ।”
ধর্ষণের এই অভিযোগে অপর আসামি সাব্বিরকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
“তার জামা কাপড়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”