এমপিও শিক্ষকদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তন রোধের দাবি

বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো)।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2019, 10:16 AM
Updated : 5 Oct 2019, 10:16 AM

শনিবার সকালে গাজীপুর শহরে এক পত্রিকার কার্যালয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (বাবেশিকফো) এক সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই দাবি জানানো হয়।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাবেশিকফোর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য গত জানুয়ারি থেকে মূল বেতনের ১০ শতাংশ চাঁদা কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এর আগে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য চার শতাংশ ও কল্যাণে দুই শতাংশ হারে চাঁদা কর্তনের নিয়ম ছিল। নতুন আদেশে তা বৃদ্ধি করে ছয় ও চার শতাংশ করা হয়েছে।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়।

ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।

‘ইয়াঙ টিচার’স: ফিউচার অব দ্য প্রফেশন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার জাতিসংঘ এই দিবসটি পালন করছে। শিক্ষকতা পেশাকে তরুণদের প্রথম পছন্দ করে তোলার জন্য সব দেশের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শিক্ষকদের মর্যাদা সম্মুত রাখার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সাল থেকে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) অর্জনে শিক্ষককে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়েছে।

গাজীপুরে ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম, নাজমুল হাসান, শ্রীপুর রেজাউল হক মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক হারুন অর রশিদ, সংগঠনের কালীগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, জাঙ্গালীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আ. রহমান, দুর্বাটি এম ইউ কামিল মাদরাসার শিক্ষক শাহ আলম।