শনিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।
এ ঘটনায় খুলনার রূপসার শ্রীফলতলার আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০), আলী হায়দারের ছেলে আসাদুল মোড়ল (২১), মোসাব্বরপুর গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার কামরুল হাওলাদার (১৮), মহিষাঘুনি গ্রামের মাসুম শেখের ছেলে নাঈম শেখ (১৯), বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের তৈয়েব শেখের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৯) ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে সোহেল রানাকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কথিত প্রেমিক নিয়ামুলকেও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূর আলম সিদ্দিকী জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নানা বাড়িতে থেকে এক মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। তার মা খুলনা নগরে থাকেন।
মেয়েটি ফেইসবুকে পরিচয় সূত্রে মোড়েলঞ্জের নিয়ামুল নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মেয়েটি মায়ের কাছে বেড়াতে এসে গত বুধবার নিয়ামুলের সঙ্গে খুলনা শহরের হাদিস পার্কে ঘুরতে যায়।সে সময় মেয়েটির সঙ্গে তার আট বছরের এক খালাত ভাইও ছিল।
“নিয়ামুল সুকৌশলে তার বন্ধু রিয়াজুল ইসলাম এবং সোহেল রানাসহ ওই কিশোরীকে রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুরে এক নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়।
“ওই রাতে নিয়ামুল কিশোরীকে ধর্ষণ করে।”
এ ঘটনার পর মোছাব্বরপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক বিষয়টি টের পেয়ে নিয়ামুলের কাছে ‘মোটা অংকের টাকা’ দাবি করে। নিয়ামুল ও তার বন্ধুরা টাকা দিতে না পারায় ওই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও আসাদুল মোড়ল ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং নাইম শেখ (১৯) ও মোসাব্বরপুর গ্রামের কামরুল হাওলাদার (১৮) এ কাজে সহায়তা করে বলেও জানান তিনি।
মেয়েটি বাসায় ফিরে ঘটনা জানালে গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।