বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালিয়েছেন।
আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শেষ সময়ে জাতীয় পার্টির রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদ, বিএনপির রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
তিন প্রার্থীই জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদের কথা জানান সভা-সমাবেশে।
এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও প্রচার নিষিদ্ধ থাকবে।
“নগরীসহ নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ও মোটরযান চলাচল বন্ধ থাকবে। বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকার ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে প্রশিক্ষণ (মক) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ভোটাররা তাদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার মহড়া দিয়েছেন। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি ভোটারদের দেখিয়ে দেন। নগরীর বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের মক ভোট দিতে দেখা গেছে।
গত ১৪ জুলাই রংপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১ সেপ্টেম্বর আসনটিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৯ সেপ্টেম্বর। ৫ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ।
রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ১-৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকি এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩ জন। এই আসনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৩০টি, ভোটকক্ষ ৯১০টি।