গত বুধবার হাতীবান্ধা উপজেলা বন কর্মকর্তা নূরনবী বাদল হাতীবান্ধা থানায় চারজনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
গত শনিবার হাতীবান্ধার গেন্দুকুড়ি এলাকায় শিয়ালটি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে গ্রামের কয়েকজন। এরপর জবাই করা শেয়ালটির গাছে ঝোলানো অবস্থার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার গেন্দুকুড়ি এলাকার আজহার আলীর ছেলে আবুল কালাম, আব্দুস ছামাদ ভুঁইয়ার ছেলে খোরশেদ আলম, সুরুজ জামালের ছেলে আলমগীর হোসেন, মাজম শেখের ছেলে সুরুজ জামালসহ কয়েকজন একটি শিয়াল ধরে জবাই করে গাছে ঝুলিয়ে চামড়া ছাড়িয়ে মাংস ভাগ করে নেয়।
এ সময় গ্রামের নায়েব আলী মোবাইল ফোনে এ দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা বন কর্মকর্তা নূরনবী বাদল বলেন, “সংবাদটি নজরে এলে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন বলেন, “বিষয়টি ফেসবুকের সাহায্যে আমাদের নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বনকর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তবে এ ঘটনায় জড়িত আবুল কালাম বলেন, “শনিবার বাড়ির পোষা ছাগলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল একটি শেয়াল। পরে ওই শেয়ালটি আটক করা হয়। শেয়ালের মাংস খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমন ধারণা থেকে শেয়ালটিকে জবাই করে মাংস ভাগ করে রান্না করে খাওয়া হয়েছে।”