গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে পদ্মার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে পানির উচ্চতা ৮.৭৮ সেন্টিমিটারে এ রয়েছে।পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে সদর উপজেলার নর্থচ্যানল, ডিক্রীরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পানি প্রবেশ করেছে।
“এছাড়া নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চাটামের বাজার সড়কটির দুইটি স্থান পানিতে তুলিয়ে গেছে।গত দুই দিন ধরে জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি বৃহস্পতিবারও অপরিবর্তিত ছিল।”
ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন জেলা বোর্ডের এ প্রকৌশলী।
টানা বৃষ্টি এবং উজানে পানি বাড়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর অঞ্চলে স্বল্পকালীন বন্যা হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরের নিস্নাঞ্চলের সবজি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।তলিয়ে গেছে শীতকালিন গুটি পেঁয়াজের ক্ষেত।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিধার্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়ে তারা সব সময় খোঁজখবর রাখছেন।
“চিন্তার কোনো কারণ নেই, জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। যে কোনো বিপদে সকলকে নিয়ে মোকাবেলা করতে পারবো।”