শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ‘নাব্যতা কমেছে’

পদ্মায় স্রোত বৃদ্ধি ও পলিতে নৌরুটের চ্যানেলে নাব্যতা কমে আসার মধ্যে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 10:26 AM
Updated : 3 Oct 2019, 10:26 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাট থেকে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে লৌহজং টার্নিং হয়ে চায়না চ্যানেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর এম মাহবুব উল ইসলাম পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, লৌহজং চ্যানেলে নাব্যতা কমে ৯-১০ ফুট চলে আসায় চ্যানেল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

“তীব্র স্রোতে ড্রেজারগুলো স্থাপন কষ্ট হচ্ছে।“

গত মাসের ৩০ তারিখে লৌহজং চ্যানেলে ১৫-১৬ ফুট গভীরতা ছিল বলেও জানান তিনি।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং উজানে পানি বাড়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর অঞ্চলে স্বল্পকালীন বন্যা হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা।

এর মধ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্যে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা দেওয়ায় গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেইটের সবগুলোই সোমবার খুলে দেয় ভারত। তবে অতিবৃষ্টিপাতকে বন্যা পরিস্থিতির কারণ বলেছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।

পদ্মা নদীতে পানি দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান মাহবুব বলেন, “উজানে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উজান হতে স্রোতের সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট, বিকল্প চ্যানেল ও ফেরিরুটে পলি পড়ে দ্রুত ভরাট হচ্ছে।”

নাব্যতা সংকট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র ও বেসরকারি ড্রেজার দ্বারা ড্রেজিং কাজ অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে কমোডোর এম মাহবুব জানান, লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট, বিকল্প চ্যানেলের মুখ ও মাগুরখণ্ড এলাকায় তুলনামূলক বেশি পলি মাটি জমছে।

বর্তমানে সোজা চ্যানেল ও বিকল্প চ্যানেলে প্রয়োজনীয় নাব্যতা থাকায় ফেরি চলাচলের কোন অসুবিধা নেই সাংবাদিকদের অবহিত করে তিনি বলেন, “তবে পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট, বিকল্প চ্যানেলের মুখ ও মাগুরখণ্ড এলাকায় পলি অপসরণে ১২টি ড্রেজার দিয়ে সার্বক্ষণিক ড্রেজিং কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আতাহার আলী সরদার, মো. সাইদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, উপ-পরিচালক এসএম আজগর আলী, বন্দর কর্মকর্তা শাহআলম মিয়া, নৌনিট্রা সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন, বিআইডব্লিউটিসির মেরীন অফিসার আহম্মদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।