সাভারে ৩০ নামের নকল কয়েল তৈরির কারখানা

গাছের গুঁড়া, আঠা ও রং মিশিয়ে অনুমোদনহীন ৩০ নামের মশার কয়েল তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এ সময় ওই কারখানার চার কর্মচারীকে কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2019, 03:23 PM
Updated : 2 Oct 2019, 03:23 PM

বুধবার ঢাকার সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মহল্লায় ‘রোকশানা কেমিক্যাল ওয়ার্কস’ কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।

কারখানার ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, বিক্রয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, শেখ ফরিদ ও কর্মচারী মো. রুবেলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গাছের গুঁড়া, আঠা ও রং মিশিয়ে তুলসী পাতা, জনতা, টাইগার, এসটিসি এন্টি ডেঙ্গু, সুপার কিং, ডলফিন, সুপার ফাইটার, নীম, ঈগলু ম্যাক্সসহ ৩০ নামের ভেজাল মশার কয়েল তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল এই কারখানার মালিক মো. আনিস।

কোনো অনুমোদন না নিয়ে শুধু একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন আনিস।

“কারখানা থেকে এসব কয়েল তৈরির ৪২ বস্তা কাঁচামাল, ৫০ হাজার তৈরি কয়েল ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৩ কার্টন বিভিন্ন নামের তৈরি কয়েল জব্দ করা হয়।”

নিজাম উদ্দিন বলেন, কারখানার মালিক মো. আনিস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

কারখানার শ্রমিক ইভা ও কোহিনুর বলেন, তাদের কারখানায় ১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। মালিক মাঝেমধ্যে আসেন। ম্যানেজার দেখাশোনা করেন।

তবে কারখানার অনুমোদন আছে কিনা তা তারা জানেন না। প্রায় দুই বছর যাবত কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে তারা জানান।

বিএসটিআই-এর পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, “বিএসটিআই-এর অনুমোদন না নিয়ে শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ৩০ নামের ভেজাল কয়েল তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল কোম্পানিটি। কয়েল তৈরিতে যে রাসায়নিক তারা ব্যবহার করছে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।”

অভিযানে র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজলসহ অন্যান্য র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।