মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, “অপরাধীর কোন দল নেই, তার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান। অপরাধী সে যেখানেই থাকুক না কেন তাকে ধরা পড়তেই হবে। সম্রাটকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি ঢাকায় ক্লাব গুলোতে যে ক্যাসিনো বা জুয়া খেলার সমঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে এটি রাজনৈতিক নয়, ক্লাব ভিত্তিক অনিয়ম সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সমাজ থেকে সকল ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি উচ্ছেদ করাই, দমন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সেটিই করে যাচ্ছি।”
গত বুধবার ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রে র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো মেলার পাশাপাশি সেগুলো পরিচালনায় যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এরপর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের খোঁজ মিলছে না কোথাও।
ঢাকায় যে কয়েকটি ক্লাবের অস্তিত্ব সেগুলোকে কঠোরভাবে দমন এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ঢাকার বাইরে ক্লাবের খবর পাওয়া গেলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন এসময় উপস্থিত ছিলেন।