চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মায় এক রাতে পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার

দেশে স্বল্পকালীন বন্যার আশঙ্কার মাঝে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মানদীতে ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে তিন সেন্টিমিটার।

চাঁপাইনবাবঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2019, 06:43 AM
Updated : 1 Oct 2019, 10:14 AM

তবে ফারাক্কা বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়ার পর পদ্মায় যে হারে পানি বৃদ্ধি হচ্ছিল, সেই হার মঙ্গলবার কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম।

পদ্মা নদীতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাংখা পয়েন্টে এই তিন সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায় বলে জানান তিনি।

এর আগে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং উজানে পানি বাড়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর অঞ্চলে স্বল্পকালীন বন্যা হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানিয়েছেন।

মৌসুমি বায়ু বিদায়বেলায় প্রায় প্রতিদিনই সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি দেশের উজানে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশেও বৃষ্টি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আরিফুজ্জামান।

গত রোববার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের ভেতরেও বৃষ্টি বেড়েছে। এর প্রভাবে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

“এ পরিস্থিতিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা রয়েছে। বুধ-বৃহস্পতিবারের দিকে এ বন্যা দেখা দিতে পারে।”

মৌসুমি বায়ু দেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগারে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।

মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আতিকুল জানান, বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্টে পানির স্তর রয়েছে ২২ দশমিক ০৯ সেন্টিমিটার।

“যা বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।”

ফারাক্কার সব লকগেট খুলে দেওয়ার পর সোমবার দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাতেই পাঁচ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিন্তু সেই হার কমে গেছে “

সেখানে পরের ১২ ঘণ্টায় বেড়েছে মাত্র তিন সেন্টিমিটার বলে জানান তিনি।

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার অতি-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে বর্ষায় টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জসহ ২৮টি জেলা প্লাবিত হয়। বন্যায় শতাধিকের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩০ লাখের বেশি মানুষ।