সোমবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নওগাঁ সদর থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান।
এরা হলেন নওগাঁ জেলা সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিন ও সাবেক উপ-পরিচালক মহরম আলী, যিনি বতমানে রংপুরে উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন ওই দুই সঞ্চয় কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন বলে ওসি জানান।
ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন দুদকের বরাত দিয়ে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই কর্মকর্তাকে নওগাঁ জেলা সঞ্চয় অফিসে ডাকেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৬০ গ্রাহকের আমানতের ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতে জড়িত অভিযোগে তাদের বিকালে গ্রেপ্তার করেন দুদক কর্মকর্তা আলমগীর।
“সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, গত ২৫ জুন ৬০ গ্রাহকের আমানতের ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা সঞ্চয় অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে দুদক। গত জুন মাসে বিভাগীয় অডিটে এই অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সঞ্চয় অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সঞ্চয় কর্মকর্তা নাসির হোসেন বাদী হয়ে গত ১৫ জুন জেলা সঞ্চয় অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা করেন বলে আলমগীর জানান।
আলমগীর হোসেন বলেন, এই মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে দুদক। আটক সাদ্দাম হোসেনকে পরবর্তীতে রিমাডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তার দেওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যো ভিত্তিতে বুধবার অভিযান চালিয়ে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়েছে হাসান আলী নামের একজনকে।
“মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে এই অর্থ আত্মসাতে জড়িত জেলা সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিন ও সাবেক উপ-পরিচালক মহরম আলীকে গ্রেপ্তার করে দুদক।”