পেঁয়াজ লাগবে ২ কেজি, কিনলেন আধাকেজি

‘কী করব দুই কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য এসেছিলাম। হাফকেজি পেঁয়াজ নিয়েই যাচ্ছি।’

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 05:13 PM
Updated : 30 Sept 2019, 05:13 PM

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে প্রয়োজনীয় পরিমাণ কিনতে না পেরে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়ার এক কৃষক লীগ নেতা।

সোমবার বগুড়ার কাঁচা বাজারে সকালে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতিকেজি ৮০ টাকা। বিকাল ৫টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ টাকায়। সন্ধ্যার পর থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

কেউ কেউ পেঁয়াজ কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছে। কেউবা অল্প নিয়ে বাড়ি ফিরছে।

বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “টাকা দিয়েছি; কিন্তু কাল পেঁয়াজ পাব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। আড়তদার বলছে মালের দাম বেশি দিতে হবে।”

ফতেহ আলী বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ১৫ দিন আগে ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হল। আজ হঠাৎ আড়তদারেরা বলল ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। তাই দাম বেশি না দিলে পেঁয়াজ দেবে না।

“আমরা ব্যবসা করি। আজ ১১০ টাকা কেজি দরে পাইকারি হিসেবে নিয়ে এসে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ক্রেতারাও দাম শুনে খারাপ কথায় গালি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা কী করব!”

বগুড়া শহরের মালতিনগরের এক ক্রেতা দাম শুনেই দোকানির উপর চড়াও হলেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে থামায়।

হিলি স্থল বন্দরের আমদানিকারকদের সভাপতি হারুনার রশিদ বলেন, এলসি করা পেঁয়াজ এখনও দশ হাজার টন আটকে আছে। ভারত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব মাল ছাড় পাবে না।

“গত এক সপ্তাহে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে। হঠাৎ ভারত আমদানি বন্ধ করায় লাফিয়ে এত দাম বাড়া সম্ভব নয়।”

বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মজুদ করে যারা অন্যায়ভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু হবে। জনগণকে জিম্মি করে এধরনের ব্যবসা যারা করবে তারা কেউ ছাড় পাবে না।”