বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারের ৩ জেলে নিখোঁজ

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে মাছ ধরার সময় আরেকটি ‘ফিসিং ট্রলিং’ এর ধাক্কায় তিন জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন; আহত হয়েছেন একই ট্রলারের আরও চার জেলে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 04:41 PM
Updated : 30 Sept 2019, 04:41 PM

রোববার রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন সুমন মোল্লা (২৮), আলামিন (৩২), ইসমাইল (২৫) ও সোলায়মান (৩০)।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন জাফর (৩৫), খোকন (২৮) ও মনির (২৫)। এদের সবার বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জামাল মিয়া বলেন, আহত চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন।

শরণখোলার ট্রলার মালিক এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, তিনদিন আগে ১৮ জন জেলে এফবি আল কারিম নামের ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান।

তিনি বলেন, রোববার রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ ধরার সময় চট্রগ্রামের এফবি সেম পাওয়ার-৪ নামের একটি আধুনিক ফিসিং ট্রলিং পেছন থেকে ধাক্কায় দেয়।

“ট্রলিংয়ের ধাক্কায় আমার ট্রলারটি এক অংশ ভেঙ্গে যায় এবং ট্রলারে থাকা পাঁচ জেলে সাগরে পড়ে যান। এরমধ্যে দুইজন সাঁতরে ট্রলারে উঠতে পারলেও অন্য তিনজন উঠতে পারেননি। এ সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।”

নিখোঁজ তিন জেলে ওই এলাকায় থাকা অন্য কোনো মাছধরা ট্রলারে উঠে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকার অন্য মাছধরা ট্রলারগুলো সাগর থেকে ফিরলে নিখোঁজ ওই তিনজেলের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

ট্রলিংয়ের ধাক্কায় তার ট্রলার ও মাছ জালসহ অন্তত ১০ লাখ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে ট্রলার মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে তিনি শরণখোলা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

শরণখোলা থানার ওসি এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, ট্রলার মালিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

শরণখোলা উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন অভিযোগ করেন, বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম থেকে সাগরে মাছ ধরতে আসা আধুনিক ট্রলিংগুলো সাগরের ছোট ছোট ফিসিং ট্রলারে অসাবধনতাবশত ধাক্কা দেয়। প্রায় সময় এ ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ে এসব জেলে ট্রলার।