কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, দুই আসামিকে রোববার আদালতের হারিজ করা হলে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা হলেন বসুরহাট বাজারের রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্লা ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম।
স্পিরিট পান করে মারা যাওয়া নুরনবী মানিকের ভাগিনা শাহজাহান সাজু বাদী হয়ে শনিবার রাতে জাহেদ ও তার জেলে প্রিয়মকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি জানান।
ওসি আরও জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্পিরিট পান করে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
এরা সবাই বৃহস্পতিবার রাতে রফিক হোমিও হল থেকে স্পিরিট নিয়ে পান করেন। ওইদিন গভীর রাতে আবদুল খালেক নামে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত একে একে সবুজ, মহিন উদ্দিন, রবি লাল, মানিক ও লিটনের মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে রফিক হোমিও হলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ হোমিও ওষধের লেবেল লাগানো ছয়শ বোতল রেক্টিফাইড স্পিরিট জব্দ করেছে। এ সময় হোমিও চিকিৎসক সৈয়দ জাহেদ উল্লা ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে আটক এবং দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।