রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী সিদ্দিক গাজীকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
অপর আসামিরা হলেন গৃহবধূর শ্বশুর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর উরবুনিয়া গ্রামের হাসেম গাজী, শাশুড়ি পারুল বেগম, দেবর খোকন গাজী এবং খোকনের বন্ধু লিটন।
মামলার রায় ঘোষণার সময় শুধু পারুল বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বরগুনার বেতাগী উপজেলার পূর্ব রাণীপুর গ্রামের আবদুল আজিজের মেয়ে সাজেদা বেগম বেবীর সঙ্গে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর উরবুনিয়া গ্রামের হাসেম গাজী ছেলে সিদ্দিক গাজীর বিয়ে হয়েছিল ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে।
বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়ি রেখে সিদ্দিক গাজী ঢাকা গেলে তার ভাই খোকন গাজী ও খোকনের বন্ধু লিটন ওই গৃহবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তখন ভাবি খোকনকে জুতাপেটা করেন বলে মামলায় বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সিদ্দিক ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলে খোকন তার স্ত্রী চরিত্র সম্পর্কে নানা অভিযোগ করেন। এরপর সিদ্দিক স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে নানা অপবাদ দেন এবং এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরের কাছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে সিদ্দিকসহ আসামিরা বেবীকে মারপিট করলে তার মৃত্যু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, ২০০২ সালের ২১ জুলাই স্বামীর বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর উরবুনিয়া গ্রাম থেকে সাজেদা বেগম বেবীর লাশ উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে বেবীর বাবা আবদুল আজিজ বেতাগী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামির আইনজীবী ছিলেন কমল কান্তি দাস।