‘জমির বিরোধে’ হামলা, গৃহবধূর চুল কর্তন

পাবনায় ‘জমির মামলা তুলে না নেওয়ায়’ এক গৃহবধূর মাথার চুল কাটা, স্বামীসহ তাকে গাছে বেঁধে মারধর ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2019, 03:23 PM
Updated : 29 Sept 2019, 03:23 PM

সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামে শনিবার শেষ রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহত এই দম্পতিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার ওই দম্পতির মেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকার শাহাজাহন, খাইরুল, বিপ্লব, ফরিদ ও তৈজদ্দিনসহ ৬/৭ জন সশস্ত্র ব্যক্তি মুখে কালো কাপড় বেঁধে আমাদের বাড়ি এসে মা ও বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। মারপিট করে বাড়ির পাশের একটি নারিকেলের গাছের সঙ্গে বাবাকে বেঁধে আমার আম্মাকেও ব্যাপক মারপিট শুরু করে।

“এ সময় হামলাকারীরা আমার মায়ের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয় এবং সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।”

হামলাকারীরা যাওয়ার সময় বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে ওই মেয়ে বলেন।

তাদের সঙ্গে জমিজমা আদালতে হামলাকারীদের মামলা চলছে বলেও মেয়েটি জানান। 

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ (৩৫) বলেন, “স্থানীয় শাহজাহান ও তার সহযোগীরা আমাদের বাড়ির ২৩ শতাংশ জমির দলিল জাল করে দখলের পাঁয়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ আট বছর ধরে মামলা চলে আসছে। ওই মামলায় শাহজাহান আলীসহ মারুফ হোসেন, বকুল হোসেন ও জনিকে আসামি করা হয়।”

মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা তাদের বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকিসহ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও হামলা করে বলে তিনি জানান।

চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর স্বামী (৪৫) বলেন, “আমি কাঁচি কারখানায় কাজ করি। আমার সামান্য জমির কাগজ জাল করে দখলের অপচেষ্টা করেছে শাহজাহান ও তার লোকজন। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। তারা মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে আমাদের।”

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি নাছির আহম্মেদ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। ওই নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”