রোববার কিশোরগঞ্জ বিচারকি হাকিম আব্দুন নূর এ আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে শরিফ উদ্দিন (৬০) নামের ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের আগে শুক্রবার রাতেই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কান্দাইল গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটির মা মামলায় অভিযোগ করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণী তার মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরে থাকেন। তাদের পরিবারের সবাই পোশাক শ্রমিকের কাজ করেন। তরুণীটি দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে এক নারী তার চিকিৎসার জন্য শরিফ উদ্দিন কবিরাজের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তার কথামতো তরুণীকে তার মা-বাবা ১৫/২০ দিন আগে কবিরাজের কাছে নিয়ে যান এবং তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দুটি তাবিজ নিয়ে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তাবিজে তরুণীটি সুস্থ না হওয়ায় তাকে পুনরায় শুক্রবার রাতে কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যান তার মা। তখন কবিরাজ জিনের আছর পড়েছে বলে তরুণীর মাকে জানান।
মামলার বরাতে ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, জিন ছাড়ানোর কথা বলে মাকে বসিয়ে রেখে তরুণীকে আরেকটি ঘরে নিয়ে কবিরাজ ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
শুক্রবার রাতেই তরুণীর মা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন বলে ওসি জানান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ময়নাল হোসেন জানান, তিনি কবিরাজকে আদালতে হাজির করলে বিচারক আব্দুন নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটক কবিরাজের পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন করেনি বলে জানান এসআই ময়নাল।