শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বিজিবি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএনএম সামিউন নবী চৌধুরী।
এ ঘটনায় আহত মো. দুলাল মিঞা (৩০) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় চড়ুইগতি গ্রামের মো. সবরাতুর ছেলে বলেও তিনি জানান।
সামিউন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে গরু চোরাকারবারী করার জন্য দুলাল মিঞাসহ আরও তিনজন বেউঝাড়ি সীমান্তের ৩৭৯/৮ এস নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের ২শ’ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
“এ সময় ভারতের ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বড়বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া দেয়।
বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরতে না পেরে এক পর্যায়ে গুলি ছোড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুলাল মিঞা ডান কাধের নিচে গুলিবিদ্ধ হলে তার সহযোগীরা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
গুলিবিদ্ধ দুলাল মিঞা বর্তমানে কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি বিজিবি।
সামিউন আরও জানান, খবর পাওয়ার পর রোববার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট হতে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বেউরঝাড়ি সীমান্তের ৩৮২/৪ এস নম্বর পিলার এলাকার ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শূণ্যরেখায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বড়বিল্লা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি আমরেন্দ্রর ঝাঁ ও বিজিবির পক্ষ থেকে বেউরঝাড়ি ক্যাম্পের সুবেদার মো. আব্দুস সালাম নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে বিজিবি প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ গুলি করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন; তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না বলে জানান।
এদিকে আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডোঙ্গা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ দুলাল মিঞা তার এলাকার বাসিন্দা; সে বর্তমানে রংপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।