মাদারীপু‌রে ‘হামলায়’ মাতৃগ‌র্ভের সন্তা‌নের মৃত্যু

মাদারীপুর সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রিপনচন্দ্র ম‌ল্লিক, মাদারীপুর প্রতি‌নি‌ধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2019, 05:45 PM
Updated : 28 Sept 2019, 05:45 PM

মস্তফাপুর উকিল বাড়ি এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান।

হামলায় আহত জিতু আক্তারের (২৫) সিজার অপারেশনের পর মৃত সন্তান হয়েছে।  জিতু আক্তার উকিল বাড়ি এলাকার রাজু হাওলাদারের স্ত্রী।

হামলায় অন্য আহতরা হলেন রাজু হাওলাদারের মা সাফিয়া বেগম (৫৩), দুই ভাই জসিম হাওলাদার (২৪) ও নাছিম হাওলাদার (২০)।

তাদের মধ্যে সাফিয়া বেগমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জসিম ও নাছিম ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জিতু আক্তারকে ফরিদপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, উকিল বাড়ি এলাকার শাজাহান হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (৩০) তার চাচাত ভাই জহির হাওলাদারের (৩৫) কাছে একটি মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে লাভ দেওয়ার কথা বলে টাকা ধার নেন। কিছুদিন পর রাজু বন্ধকের মূল টাকা ফেরত দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নেন, কিন্তু লাভের টাকা বাকি থাকে।

রাজু হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জহির হাওলাদার লোকজন নিয়ে দেশি অস্ত্রসহ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আমার মা সাফিয়া বেগম, স্ত্রী জিতু আক্তার, ছোট ভাই জসিম হাওলাদার ও নাছিম হাওলাদার আহত হন।”

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে সাফিয়া বেগমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জসিম ও নাছিম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

“এছাড়া আমার স্ত্রী গর্ভবর্তী জিতু আক্তারকে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে রাতে সিজার অপারেশন করে মৃত সন্তান প্রসব করানো হয়।” 

এ ব্যাপারে জহির হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়। 

প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালের ডা. এলিজা বলেন, “আমরা রাতে অপারেশন করে দেখি শিশুটি মারা গেছে। গর্ভবর্তী ওই মহিলার পেটে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।” 

“মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি সদর হাসপাতালে ও প্রত্যাশা প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। গর্ভবর্তী মহিলা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় শিশুটি পেটেই মারা যায়। থানায় অভিযোগ দিলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”