নাসির উদ্দিন ৭৩ বয়সে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান তার একমাত্র কন্যা কবি নন্দিতা উর্মি।
১৯৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকার জন্য পরিচিত নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর ইতিহাস রচিয়তা রফিকুর রশিদ রিজভী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পর মেহেরপুরে মার্কবাদী দর্শন চিন্তার বাম রাজনীতির প্রথম সংগঠক ছিলেন তিনি।
“তাকে মেহেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যের আর্কাইভ বলা হতো।”
মেহেরপুরের ইতিহাস রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে, ক্লাবে, স্কুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও এলাকার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির গল্প শোনাতেন বলে জানান তিনি।
শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর প্রথম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আর্ট ও স্থিরচিত্র শিল্পী হিসাবেও সুনাম রেখেছেন।
“স্কুলে স্কুলে দেয়ালিকা প্রকাশ, সাহিত্যচর্চা, খেলাধুলা, বিজ্ঞানচর্চা অভ্যাসসহ শিশুদের নিয়ে প্রগতিশীল চিন্তার নানামুখী কার্যক্রম তিনিই শুরু করেছিলেন।”
মেহেরপুরে নারী জাগরণের শুরু নাসির উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় উল্লেখ করে মেহেরপুরের ন্যাপ (মোজাফফর)-এর প্রবীন নেতা প্রসেঞ্জিত বোস বলেন, তিনি অহিংস রাজনীতি চর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন।
মেহেরপুরের প্রথম সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রবাহ’র সম্পাদক নাসির উদ্দিন ১৯৪৬ সালের ১১ নভেম্বর অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর থানার ফাজিলনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।