খাগড়াছড়ির আ.লীগ নেতা শফি মারা গেছে

দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর খাগড়াছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা এসএম শফি (৬৪) মারা গেছেন।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2019, 06:29 AM
Updated : 24 Sept 2019, 06:30 AM

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামের এক হাসপাতালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি মারা যান বলে জানান তার ছোট ছেলে প্রকৌশলী এস এম নাজিম উদ্দিন।

নাজিম উদ্দিন বলেন, “যেহেতু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন খাগড়াছড়িতেই কাটিয়েছেন, সেহেতু এখানকার মানুষের সাথে আলাপ- আলোচনা করে বাবাকে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

টানা তিনবার খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর শফি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তাকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এসএম শফির মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে শোক জানাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়া, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি অমৃত লাল ত্রিপুরা, সম্পাদক খোরশেদ আলম, পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শানে আলমসহ অনেকে সাংবাদিকদের জেলার এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শফির ছোট ছেলে নাজিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

“পরিবারের সহায় সম্মত্তি বিক্রি করে ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু কিডনি পুনঃস্থাপনসহ ব্যয়বহুল বিভিন্ন অপারেশনের টাকা ব্যবস্থা করতে না পারায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশে দাঁড়ান। তার নির্দেশে শফিকে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালে’ চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা অপরেশনের অনুকূল নয় বলে চিকিৎসকরা তাকে বাড়ি নিয়ে মেডিকেল ম্যানেজম্যান্টের মাধ্যমে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

এসএম শফি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফাতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে মদুনাহাটে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় অন্য নেতাদের সাথে তার বিরুদ্ধেও হুলিয়া জারি হয়। এরপর ৭৫ সালেই খাগড়াছড়িতে চলে আসেন তিনি বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।