বান্দরবানের ঘুমধুম পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক ইমন চৌধুরী বলেন, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের থোয়াইঙ্গা ঝিরি এলাকার ৩৫ ও ৩৯ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন তারা।
নিহত আব্দুল মজিদ (৩২) কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ডি-১ ব্লকের আব্দুল মালেকের ছেলে।
“তার বাম পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বাম কুনুই ও বাম ঊরুতে গোলার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের সঙ্গীরা বিজিবির তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লাশ ফেলে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সীমান্তে বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারা গেছেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।
অভিযোগ রয়েছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু ও আশারতলী সীমান্তে মিয়ারমারের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী স্থলমাইন পুঁতে রাখছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।