খুলনা জজ আদালতের আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে ওই তরুণী খুলনার নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এ একটি ধর্ষণের অভিযোগ দেন।
“আদালত তার আরজি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।”
তরুণীর অভিযোগ, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করেন। এরপর রাতে ওসি ওসমানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য থানায় তাকে ধর্ষণ ও মারধর করেন। এরপর তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
তরুণী আদালতে ওসি ওসমান এবং এসআই নাজমুলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুনে আদালত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। আর মাদক মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত হন।
ঘটনার পর ওসি ওসমান এবং এসআই নাজমুলকে খুলনা রেলওয়ে থানা থেকে পাকশি রেলওয়ে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কর্তৃপক্ষ গঠন করে তিন সদস্যের কমিটি। কমিটি ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি নির্যাতনের মামলা হয়।
আইনজীবী মোমিনুল বলেন, এর আগে থানায় নির্যাতনের মামলা হলেও ধর্ষণের মামলা হয়নি। তাই সোমবার তিনি ধর্ষণের মামলা করলেন।