খাবারে বড়শি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর

খাবারে মাছ ধরার বড়শি ও কেঁচো পাওয়ার অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আব্দুল লতিফ হলের একদল শিক্ষার্থী ভাঙ্চুর করেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2019, 04:56 PM
Updated : 20 Sept 2019, 04:57 PM

ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হলের এক ছাত্র শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ডাইনিংরুমে খাওয়ার সময় মাছভর্তায় বড়শি ও কেঁচো পান। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন।

তারা হলের চেয়ার, প্লেট, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্চুর করেন। তারা বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবি জানান। এ সময় তারা স্লোগান দেন, “খাবারে বড়শি কেন, জবাব চাই!” “রিডিং রুম নেই কেন, জবাব চাই!”

তারা প্রাধ্যক্ষ একরাম হোসেনকে হলের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। তাদের নিয়ে আলোচনায় বসে কর্তৃপক্ষ।

প্রাধ্যক্ষ একরাম হোসেন বলেন, “ঘটনার পরই আমি হলে গেলেও শিক্ষার্থীরা প্রথমে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। পরে প্রক্টরসহ অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করি।

“শিক্ষার্থীরা খাবারের মান, বিশুদ্ধ পানি, রিডিং রুম, ক্যান্টিন সংস্কারসহ কয়েকটি দাবি তুলেছে। সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করা হবে। আর খাবারে বড়শি পাওয়ার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো যৌক্তিক। হল প্রশাসন তা মেনে নিয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।”

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল খাবারে পোকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে ডাইনিং ভাঙচুর করেছিলেন একই হলের শিক্ষার্থীরা। তখন তারা খাবারের মান ও হল সংস্কারসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছিলেন।