মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. আজিজুল হক বলেন, নিহত নারীর ভগ্নিপতি আব্বাস উদ্দিন (৪০) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় তিনজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনি সন্দেহে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
“আব্বাস স্বীকার করেছে, ভায়রা ভাই ও শ্যালক তাকে মারধরসহ অপদস্ত করেছে। সেই ক্ষোভ থেকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার জন্য আব্বাস এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ধারালো ছোরা দিয়ে প্রথমে শ্যালিকা ও পরে তার দুই শিশু মেয়েকে হত্যা করে। আর কান্নাকাটি করার কারণে নিজের মেয়েকে ছুরিকাঘাতে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।”
নিহতরা হলেন নাসরিন আক্তার নাজমীন (২৮), তার মেয়ে নুসরাত জাহান নিঝু (৮) ও খাদিজা আক্তার সায়মা (২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আব্বাস ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছে। এ ঘটনায় নাসরিন তার বড় বোনের (আব্বাসের স্ত্রী) পক্ষ নেওয়ায় আব্বাসের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আব্বাস-দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় নাসরিন ও তার ভাই আব্বাসকে মারধর করেন।
পরিদর্শক আজিজুল বলেন, এই অপমান থেকে আব্বাস এই হত্যাকাণ্ড ঘটনা বলে জবানবন্দি দিয়েছেন।