রিফাত হত্যার অভিযোগপত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি: মিন্নির আইনজীবী

বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ আদালতে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে, তাতে শুভঙ্করের ফাঁকি দেখছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2019, 12:38 PM
Updated : 20 Sept 2019, 12:38 PM

শুক্রবার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে মাহাবুবুল বারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগপত্রে এমন কিছু গল্প যুক্ত হয়েছে, যা আগে কেউ জানত না।

“নিহত রিফাত শরীফের সঙ্গে অন্য কোনো মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে আগে কখনও আলোচনা শোনা যায়নি। অভিযোগপত্রে দেখা যাচ্ছে মিন্নির সঙ্গে বিয়ের আগে রিফাতের অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। রিফাত শরীফকে আহত অবস্থায় কে হাসপাতালে নিয়েছে, অভিযোগপত্রে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে।”

বৃহস্পতিবার রাতে আদালত থেকে দেওয়া অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “মিন্নি রিফাত হত্যায় জড়িত নন বলে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হব।”

গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।

এরপর ২ জুলাই এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে রয়েছেন মিন্নি।

দুটি আদালতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের শুনানি হবে বিচারিক হাকিমের আদালতে ৩ অক্টোবর। আর ১৪ জনের শুনানি হবে শিশু আদালতে ২২ সেপ্টেম্বর। শুনানিতে সিদ্ধান্ত হবে এদের সবার বিচার হবে কিনা। পুলিশ দুটি ভাগে এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এক ভাগে ১০ আসামি আর অন্য ভাগে রয়েছে ১৪ কিশোর।

আসামিদের মধ্যে ১৫ জন আটক হয়েছেন। আর নয়জন এখনও পলাতক।

মামলার ১৪ কিশোর আসামি বাদে অন্য আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।