গোপালপুরের হাদিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জুয়েল রানা বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের গোপালপুর আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
গত রোববার গোপালপুরের নগদা শিমলা বাজার মোড়ে একদল যুবক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানাকে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক তানবীর আহাম্মেদ জানান, বিচারক মো. শামছুল হক মামলার মূল কাগজপত্র দাখিল সাপেক্ষে আদেশের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।
বাদীর আইনজীবী গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, এই মামলায় এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে এবং এমপিকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল দক্ষিণ পাড়ার মৃত এরশাদের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. সোবাহানের ছেলে ইকবাল হোসেন, দক্ষিণ গোপালপুরের রশিদের ছেলে মিলন, মৃত লাল মিয়ার ছেলে কবির, নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল, গোপালপুর কাজিবাড়ীর আব্দুল মজিদের ছেলে লাভলু, কোনাবাড়ী বাজারের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে রিপন ও কাচারি পাড়া নন্দনপুরের মৃত নান্নুর ছেলে বাবু।
তারা এমপির মদদপুষ্ট বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদী জুয়েল রানা গত রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মিটিং শেষে নগদা শিমলা বাজার মোড়ে একটি সেলুনে চুল কাটার জন্য যান। সেখানে রাজনৈতিক মতবিরোধের জেরে এমপি তানভীর হাসানের হুকুমে আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
রানা বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।