জমি নিয়ে এই দুই সরকারি প্রতিষ্ঠান কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের এক সভায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, “সভার পাঁচ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের স্বার্থ অক্ষুণ রাখার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে জমি রক্ষা করা হবে।
“মামলা পরিচালনার জন্য জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আলেফ আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।”
সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের ৪৭ শতক জমি ‘দখল করে’ আরএমপির সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভেঙে ফেলা হয় জেলা পরিষদের ঐতিহ্যবাহী ডাকবাংলোটিও।
জেলা পরিষদের আপত্তির প্রেক্ষিতে বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ালে ২২ অগাস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করে।
গত মঙ্গলবার কমিটির তত্ত্বাবধানে জমি পরিমাপ করে আরএমপি তাদের সীমানা ছাড়িয়ে জেলা পরিষদের ৪৭ শতক জমির ভেতরে ভবন নির্মাণ কাজ করছে বলে প্রমান মেলে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান জানিয়েছিলেন, বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে, ‘কোনো জমি বিক্রি করা হবে না’ উল্লেখ করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জেলা পরিষদের এক নম্বর সদর ডাকবাংলোর জমিতে আধুনিক মানের আরেকটি ডাকবাংলো নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা।
এছাড়া মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া কমিটিতে জেলা পরিষদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধিকে না রাখায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিটি পুনর্গঠনের আহ্বান জানানোরও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নাঈমুল হুদা রানা, জেলা পরিষদের সদস্য রবিউল আলম, নার্গিস বেগম, জেলা আবুল ফজল প্রামাণিক, আবদুস সালাম, মোফাজ্জল হোসেন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতি প্রমুখ।