বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই আন্দোলন শুরু হয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, উপাচার্য নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ, ফেইসবুকে কোনো ধরনের লেখালেখির কারণে বহিষ্কার না করা, বেতন-ফি কমানো ইত্যাদি।
বুধবার রাতে এই আন্দোলন শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সকালে আবার আন্দোলন শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূর উদ্দিন আহমদ বলেন, “তাদের সব দাবি আমরা মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অফিস আদেশ জারি করেছি। তার পরও আন্দোলন চলছে।
আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, “ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন কথায় কথায় বহিষ্কার করেন। দুই বছরে ৩৪ জনকে বহিষ্কার করেছেন। দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটা ঘটেছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাই।”
দুই বছরে ৩৪ জনকে বহিষ্কারের পর বেশির ভাগেরই বহিষ্কার-আদেশ প্রত্যাহার করা হলেও সবার খবর জানা যায়নি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার ফেইসবুক পোস্টকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ দাবি করে তাকে বহিষ্কার করা হয়। জিনিয়া ডেইলি সান পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জিনিয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-সাংবাদিকরা। এরপর বুধবার জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।