কান কেটে উল্লাস: মামলায় আ. লীগ নেতা ও ছেলে আসামি

গোপালগঞ্জে এক যুবকের কান কেটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 05:07 PM
Updated : 18 Sept 2019, 05:09 PM

বুধবার টুঙ্গিপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন আহত সোহাগ সরদারের মা।

আসামিরা হলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদ (৫৫), তার ছেলে রাজিব শেখ (২৫), রাজিব শেখের সহযোগী নিয়ামত শেখ (২৫), মো. আবেদ আলী শেখ (৫০), জুয়েল শেখ (২৪), নাজমুল শেখ (২৩), বোরহান শেখ (৪০) ও শফিক শেখ (৩৬)।

সোমবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী এলাকায় একদল যুবক প্রকাশ্যে সোহাগ সরদারের (২৫) একটি কান কেটে নিয়ে উল্লাস করতে করতে চলে যায়।

সোহাগ সরদারের মা কোহিনূর বেগম মামলায় অভিযোগ করেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য তার ছেলে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী দোলা পরিবহনের কাউন্টারে যান। সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্রীরামকান্দি গ্রামের শেখ শুকুর আহম্মেদের ছেলে রাজিব শেখের নেতৃত্বে ৮/৭ জন লোক তার ওপর হামলা করে।

“তাকে মারপিট করে ধারালো এন্টিকাটার দিয়ে বাম কান সম্পূর্ণ কেটে নিয়ে পলিথিনে ভরে উল্লাস করতে করতে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়।”

কোহিনুর আরও বলেন, একটি মেয়েঘটিত বিষয়ে সোহাগ সরদারের সঙ্গে রাজিব শেখের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে রাজিব ও সোহাগ সরদারের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এমনকি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা মকদ্দমাও রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ কে এম এনামুল কবির বলেন, এ ঘটনায় আট জনকে আসামি করে সোহাগের মা কোহিনূর বেগম একটি মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

রাজিবের বাবা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদ বলেন, “সোহাগ আমাদের প্রতিবেশী। তাদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”

তাকে মিথ্যা মমলায় জড়ানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।