বুধবার সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি স্পটে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ওই এলাকা থেকে বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এ এলাকার ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তিতাসের ‘অবৈধ’ সরবরাহ লাইনে পড়লে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভালেও গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করা যায়নি সংযোগ পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একটি সংবাদ প্রকাশ করে।
গাজীপুর তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব বলেন, ভাওয়াল মির্জাপুরে ‘অবৈধ’ গ্যাস লাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোগে এ এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
“ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের আশপাশের বেশ কয়েকটি স্পটে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্থানীয় সী ব্লু এ্যাপারেলস-এর সামনে মূল লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।”
অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়।
অজিত চন্দ্র দেব আরও বলেন, তিতাস গ্যাস অফিসের কোনো অনুমোদন না নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি কতিপয় অসাধু ঠিকাদারের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে এসব বাসাবাড়িতে সংযোগ দেয়।
“নিম্নমানের পাইপ দিয়ে অবৈধ সংযোগের কারণে বিভিন্ন স্থানে পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছে।”
মঙ্গলবার ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে পাইপের লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাসের সংস্পর্শে এসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে বলে অজিত জানান।
অভিযানকালে গাজীপুরের তিতাস গ্যাস কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অজিত চন্দ্র দেব, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম রাসেল, সহকারী প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাবিনুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আসাদুল্লাহ কায়সারসহ তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা এবং কারিগরী বিভাগের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।