গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 02:29 PM
Updated : 18 Sept 2019, 07:19 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবর জানানো হয়।

ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে প্রশাসনকে ‘বিব্রত’ করার অভিযোগ তুলে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক সেমিস্টারের জন্য তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ‘আপত্তিকর লেখালেখি’ এবং ‘প্রশাসনকে বিব্রত করার চেষ্টার জন্য’ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং ওই বিভাগের সব শিক্ষক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে জিনিয়ার বিরুদ্ধে যে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। 

ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কারের পর দেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্টস’ ফেডারেশন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানায়।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনো আবেদন করিনি। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন আমার হয়ে ক্ষমা চাইবেন? আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। আমি জানি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যায়নি।”

এদিকে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে হল থেকে মিছিল বের করে। তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা করে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, এই আন্দোলনের পেছনে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে।