উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চলে প্লাবন

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 01:10 PM
Updated : 18 Sept 2019, 01:10 PM

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  

“এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সকাল ৯টায় ১৮ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর এবং বিকাল ৩টায় ২২ সেন্টিমাটর কমে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে চলে আসে।”

ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।

প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধিতে তার ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। একইভাবে উপজেলার নদীতীরবর্তী পাঁটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। দুপুরের পর থেকে নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ওই সব গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীর পানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ৯টার দিকে বিপদসীমা অতিক্রম করে। বুধবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে নদীর পানি কমে বিকাল ৪টার থেকে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।

ঢলের পানি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে রাখা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।