ঘটনার প্রায় দশ বছর পর বুধবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন খুলনা নগরীর বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।
দণ্ড ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনির এক শিশু (১০) ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তার বাবা ওই রাতেই খালিশপুর থানায় এ ঘটনায় একটি সাধঅরণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন বিকালে তার লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যরা বাদীর মেয়েকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার ওসি আবু মোকাদ্দেশ আলী ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আসামিদের মধ্যে চারজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষে আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, “রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।”
মামলার বাদী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পারভেজ আলম খান, আব্দুল লতিফ ও মনজুর আহমেদ।